নারী অধিকার শিরোনামের মৌলিক ব্যর্থতা হলো যে, নারী অধিকার নিয়ে আলাদা করে বলা হচ্ছে। পুরুষের অধিকার নিয়ে কোনো কারোকে মাথাব্যথায় পড়ার ইচ্ছা নেই কারণ সে অধিকার সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং পুনর্মূল্যায়ন করা আবশ্যক মনে হচ্ছে না। ব্যর্থতার নিশ্চিত অংশটুকু আর আরও কষ্ট তৈরি করে এটা যে মহিলাকে ভুলেও তার অধিকার দাবি করতে হয়। দিন শেষে, “আমার অধিকার কোথায়, আমাকে অধিকার করার নির্দেশ দিন” এমন কোথাও শব্দই ছাড়ানো যায় না আন্তরিক চেষ্টায়। একজন মহিলার পরিচয় কখনও প্রথম এক মানুষ হিসাবে বুঝা হয় এবং এই সত্যের উদ্বোধন হয়ছে সহস্রাব্দের সংগ্রামে যুগে যুগে।
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং আইনিক দিক থেকে আমাদের দেশেও এখনও বেশ কঠিনভাবে সম্ভব হচ্ছে। নতুন কোন বিধান-নিবন্ধ তৈরি করে এই ক্ষেত্রে সীমাহীন মার্গ সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। পুরুষতান্ত্রিক বা পিতৃতান্ত্রিক মনোভাব এখনও প্রবল থাকলেও অবশ্যই পরিবর্তনের জন্য আহ্বান করা উচিত। এই ব্যর্থতার দায়ে বাধা দেওয়ার জন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রই দায়ী থাকতে পারে। আজকালে একটি মেয়ের যেসব যোগ্যতা বিচার করা হয়, সেটা শারীরিক সৌন্দর্যে নয়, বরং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব, কর্মদক্ষতা ইত্যাদি। কাজের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই মহিলারা সাধারণভাবে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য হয়। তারাও প্রত্যেক পদক্ষেপে আত্মসাক্ষাত্কার করতে এবং নিজের শক্তি ও সামর্থ্য প্রমাণ করতে বাধ্য। এমন কোন কেউই বলে দিতে পারেন না যে মহিলারা কাজে পুরুষকে দ্বিগুণ দেখানোর জন্য অত্যন্ত বেশি প্রয়াস করে। এই প্রয়াসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সঠিকভাবে ক্ষেত্রে আগ্রহী এবং দক্ষতাশালী বন্ধুগণের নিকট থাকা।
নারী অধিকার কখনই আলাদা এবং স্বতন্ত্র বিষয় নয়। বরং, এটি মানবাধিকারের অংশ। যখন মানবাধিকার সঠিকভাবে সংরক্ষণ প্রাপ্ত হয়, তখন নারী অধিকার এর মামলায় আর আলাদাভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন হয় না। তবে, এখানে একটি সত্য রয়েছে যে, নারী অধিকার শিল্পে প্রতিটি মহিলাকে নিজের তরবার হিসেবে লড়াই করতে হয়। এটি কারণে যে মহিলাদের অন্যান্য প্রসঙ্গেও সমাজের অমিতাধিকারের ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়। আজকালে, বিভিন্ন দেশে আইনের মাধ্যমে নারীদের অধিকার রক্ষা করা হচ্ছে, কিন্তু এতেও যান্ত্রিক ভিন্নতা দেখা যায়। বর্তমানে, নারীদের অধিকারহীনতা এখন উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
একজন নারীর নিরাপত্তা এবং অধিকার গড়ে তোলা না গেলে, সেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভবপর হতে পারে না। এই অধিকার সঠিকভাবে রক্ষা পেলে প্রাথমিকভাবে পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এসব নীতি-নির্দেশনা নিয়ে প্রথম ধাপটি নেয়। পারিবারিক অধিকার যদি ক্ষয় হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি অথবা সন্তান নিজের অধিকার বুঝতে বাধ্য থাকে এবং এর ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে না। যে কারণেই হোক, এই ধরনের অধিকার ব্যাধিত হলে বেশিরভাগ হিসেবে সেই ব্যক্তি ক্ষমা করে , এবং এর ফলাফলে তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে। শিক্ষিত লোকের অভাবে অথবা সামাজিক ইতিহাস, অভ্যন্তরীণ প্রহর অবকাঠামো না থাকার কারণে অধিকার ব্যাধিত হলে , গ্রামাঞ্চলের ভারতীা হতে বেশি গৃহীতে চাচিহীন হয়ে যেতে চার্মার লাব পাওয়া প্রথমে। एই ধরনের ভেঙে ভেঙে দেখা তথ্য গ্রামাঞ্চলে, তাদের প্রতি হিসাবে সীমিত হয়, এবং এর ফলে তারা জের বেড়ে যাওয়া।
যদি এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে হয়, তবে প্রথমে প্রতিটি নারীকে নিজের অধিকারের প্রতি সচেতন হতে হবে, এবং যারা এখনো সচেতন নন তাদেরকে সচেতন করা প্রয়োজন। এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দ্বারা সমাজ থেকে নারীদের প্রতি বৈষম্য ক্রমশ দূর হবে। এটা কারো একার প্রয়াসে সম্ভব নয়। সরকার সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষদের এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কেবল নারীর অধিকার সমাজের সর্বত্র স্থাপিত হতে পারে। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, এবং যৌতুকের মত নিন্দনীয় প্রথা অনেকাংশে কমেছে, তবে পুরোপুরি নির্মূল এখনো বাকি। এর জন্য সমাজের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অপরিহার্য।