কোরানে অমুসলিম মানুষ যাদেরকে কাফের বলে সম্বোধন করা হয় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার নির্দেশ কোরানে সরাসরি ভাবে দেয়া আছে। ছট বেলা থেকে এগুলো ধর্ম ক্লাশে নিয়মিত শেখানো হত আমাদের। বড় হবার সাথে সাথে নিজের মধ্যে এসকল বিষয়গুলো নিয়ে বিতরক সৃষ্টি হতে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বের হবার পর এই দেশে আসার পর আরও সুন্দর ভাবে দেখতে পাই মানুষ কত সুন্দর ভাবে এখানে বাঁচে। নিজের সুন্দর একটা পৃথিবী আছে যেখানে মানুষ নিজের মতো করে বেঁচে থাকে। সকল মানুষদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহমর্মিতা পূর্ণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে। কিন্তু এসকল ভালো মানুষগুলোকে কোরান বলে এরা কাফের এদেরকে হত্যা করার নির্দেশ রয়েছে। কি বলে কোরান আসুন জেনে নেই-

 কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহবান

-হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্খান।

কোরআন ৬৬-৯

-হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।- তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।

কোরআন ৯-৭৩

-তা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্খাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।

কোরআন ৬১-১১

-তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।

কোরআন ২-২১৬

-যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।

কোরআন ৯-১৪

-সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।

কোরআন ৮-৫৭

-মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।

কোরআন ৪৮-২৯

-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।

কোরআন ২-১৯১

-আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)

কোরআন ২-১৯৩

-যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।

কোরআন ৫-৩৩

-যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট আঙ্গুলের জোড়ায় জোড়ায়।

কোরআন ৮-১২

-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।

কোরআন ৮-১৫

-আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।

কোরআন ৮-৩৯

-আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না।

কোরআন ৮-৫৯

যে মানুষগুলো এত সুন্দর করে বাঁচে, একে পররের প্রতি ভালবাসায় পূর্ণ থাকে, মানুষের বিপদে আপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে, কাজ করে, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করে, ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দ করে, পাবে আড্ডা দেই, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল যেখানে নিজের সুন্দর একটা পৃথিবী আছে যেখানে মানুষ নিজের মতো করে বেঁচে থাকে। এসকল মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? কি অপরাধ তাদের? মুসলিম নয় এটাই তো তাদের অপরাধ? তাই বলে এদেরকে মেরে ফেলতে হবে? আত্মঘাতী বোমা হামলা, বম্ব ব্লাস্ট করে নিরাপরাধ মানুষগুলোকে জঙ্গি দল গুলো এভাবেই মেরে আসছে দিনের পর দিন। কি অপরাধ এই নিরাপরাধ মানুষগুলোর?