লিখেছেনঃ আব্দুল কাদের
আমাদের দেশের মুসলমানদের প্রায়ই বলতে শোনা যায়, ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম, ইসলামই নাকি পৃথিবীর সব চেয়ে সঠিক ধর্ম এবং একমাত্র ইসলামই নাকি সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে।
এই কথাগুলো যে কতোটুকু মিথ্যা তা যারা ইসলাম সম্পর্কে খানিকটা হলেও জানেন কিংবা পড়েছেন তারা অনায়াসেই বলতে পারেন।
ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ হল আল কোরান। আর এই কোরানের পরতে পরতে রয়েছে বর্বরতার চিহ্ন, তা পাঁচ বছরের বাচ্চাও বুঝতে পারবে। যদিও মুসলমানরা তা স্বীকার করতে চায়না, তাই বলে সত্য কি মিথ্যা হয়ে যাবে? উত্তর হল না, যাবেনা। প্রত্যেকটি মুসলমান এখন নিজেদেরকে মহান সাজাতে গিয়ে “ইসলাম শান্তির ধর্ম” এই কথাটি ছড়াতে চায়। কিন্তু কিন্তু কোরানের কয়েকটি পৃষ্ঠা পড়লেই বুঝতে যায় তারা কতোটা বর্বর মন মানসিকতার।
ইসলাম একটি ভুয়া ধর্ম ও বটে। তাদের নিজস্ব বলতেও কিছু নেই। আছে শুধু চুরি করে আনা টেক্সট ও তাকে নিজের মতো করে, নিজের স্বার্থের জন্য সাজিয়ে নেওয়ার দুষ্টু বুদ্ধি। হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলেছি। ইসলাম ধরমের সময়কার অন্য ধর্মগুলি, যেমন খ্রিস্টান, ইহুদি কিংবা তারও আগের প্যাগানিজম সম্পর্কে গুগলে একটু ঘাটাঘাটি করলেও দেখা যায় ইসলামের অনেক অংশই সেসময়কার ধর্মগুলো থেকে ধার করে নেওয়া এবং প্রবর্তিতে ইসলামের ভুয়া নবী তার ব্যক্তি স্বার্থে নিজের মতো করে সাজিয়েছিল।
ইসলামের মধ্যে রয়েছে দ্বিচারিতার পরিচয়ও। একই কোরানে একদিকে বলেছে আল্লাহ নাকি সর্বশক্তিমান, আল্লাহ নাকি এই পৃথিবী তথা বিশ্বের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছে এবং সে নাকি তার সকল সৃষ্টিকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তো সেই কথা যদি মানতে হয় তাহলে মানতে হবে সমকামীরাও এই আল্লাহর দ্বারা সৃষ্টি সুতরাং আল্লাহ এই সমকামীদেরও অনেক বেশি ভালোবাসে, যেহেতু সমকামীরা আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু না! এই কোরানেই আবার বলা হয়েছে সমকামীরা নাকি পাপী। তাদেরকে নাকি হত্যা করা জায়েজ! রয়েছে সমকামীদের জন্য শাস্তির বিধান।
তো এটা দ্বিচারিতা নয় কি? হয় আল্লাহ এই বিশ্বের সব কিছু সৃষ্টি করেনি, নাহয় আল্লাহ তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেনা। একই মুখে দুই ধরনের কথা বলা বেমানান!
আর ইসলামের এই দৌরাত্ম্যে মনে হয় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ একদম শীর্ষে অবস্থান করছে। কারন ইসলামের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশেও সমকামিতাকে অবৈধ ঘোষণা করে আইন করা হয়েছিলো। যা এই ইসলামি বর্বরতারই একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ।
কারন কে কার সাথে যৌন আনন্দ পাবে, কে কার সাথে সংসার করবে, পরিবার রচনা করবে – তার ওপর নিষেধাজ্ঞা বসানোর অধিকার রাষ্ট্রের কাছে কে দিয়েছে? আর সমকামিতাকে আইনদ্বারা শাস্তির বিধান করাটাও একটি বর্বরতা।
দুঃখজনক হোলেও সত্য যে, আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্মান্ধ। মুসলমানরা ইসলাম ও কোরান ছাড়া আর কিছুই বুঝেনা। কোরান যা বলেছে তাই তাদের কাছে সব কিছুর ঊর্ধ্বে। মুখে মানবতাবাদের বুলি আওড়ালেও তারা মনে মনে গোঁড়া এবং এখনও সমকামিতাকে পাপ বলেই মনে করে। আমাদের বাংলাদেশের সমাজকে সুস্থ একটি সমাজে পরিণত করতে হোলে ইসলামের গোড়া থেকে উচ্ছেদ করতে হবে, তাহলেই প্রকৃত মানবতাবাদ স্থাপন করা যাবে।