ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুললেই সবাই মনে করে আমরা মনে হয় ধর্মকে নিয়ে সমালোচনা করছি। ব্যাপারটা কিন্তু আসলে তা না। আজকাল আমাদেরকে সুন্দর নাস্তিকের ট্যাগলাগিয়ে দিচ্ছে। আজগুবি কথা বলে যদি আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে সেই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলব এটাই তো স্বাভাবিক। আমরা তো আর বোকার শহরে বাঁশ করি না। আমরা এসকল ব্যাপার খুব ভাল করেই বুঝি। আমরা মনে করি আমাদের আমাদের জানার অধিকার আছে। ১৪০০ বছরের পুরনো ধারা বর্তমানে কন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে কথা হচ্ছে এবং প্রায়ি এই ধর্মটির সমালচনা করলে এমন কথা শুনতে হয়। এটি যেন একটা নতুন ট্রিকের মত হয়ে গেছে। অভস্য মুসলমানদের জন্য এটা একটা নতুন ডিফেন্স বটে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কি? আমাদের মনে হয় এই বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিৎ।

‘মুসলিম বিদ্বেষ’ এই বাকোয়াজটা একটা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নষ্ট থেকে নষ্টতর হতে দিচ্ছে। নিজেরা ধ্বংস হচ্ছে বাকীদেরকেও ধ্বংস করছে। ভিএস নাইপল ইসলামকে পৃথিবীর বিচিত্র ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ভাষা হন্তারক উপনিবেশবাদী ধর্ম বলেছিলেন। মুসলমানদের নাম আরবীতে হবে হোক সে চাইনিজ কিংবা পূর্তগীজ মুসলমান। তার চাইজিন সংস্কৃতি হয়ে যাবে জাহেলিয়া যুগের নিদর্শন। এডওয়ার্ড সাঈদ (নাম শুনে তাকে মুসলমান ভাববেন না, তিনি একজন আরব খ্রিস্টান ছিলেন) নাইপলকে এজন্য ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ বলে তুমুলভাবে আক্রমন করেছিলেন…।

আপনি কতজন মুসলমানকে বলতে শুনবেন বাবরী মসজিদ রাম মন্দির কোনটাই দরকার নেই’? আপনি কতজন মুসলমানকে বলতে শুনবেন ‘বাইতুল মোকাদ্দেশ ইহুদী মুসলমান সকলের? তারা মসজিদের দাবীতে কিন্তু অনড়। মুসলমান সমাজে যারা প্রগতিশীল উদার বলে মনে করা হয় সেরকম বুদ্ধিজীবীরাও এমনটা বলেন না।

সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেলেই অদ্ভূত এক যুক্তি, ’৯০ ভাগ কিংবা ৯৯ ভাগ মুসলমানের দেশে অমুক তমুক চলবে না…

আবার যেসব দেশে তারা সংখ্যালঘু সেখানে দুইহাজার তমুক সালের মধ্যে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়বে’ এমন ফূর্তির কারণ তখন সেই দেশটাকে ‘মুসলিম দেশ’ বানানো যাবে। এই মুসলিম দেশটার পা ভূতের মত উল্টো তাই এগিয়ে যাবার বদলে কেবলী পেছনে চলে যায়।

পৃথিবীর অগ্রগতি চিন্তায় আর প্রয়োগে এখন আর ধর্ম কোন চুল ছিড়তে পারে না। পোপ তো বিবর্তণবাদকেও ঢোগ গিলে হজম করে নিয়েছেন। বলছেন ঈশ্বর কোন জাদুকর না। এ হচ্ছে আপোষ। আর হিন্দুত্ববাদ বিলিন হয়ে যাবে পাকিস্তান ভেঙ্গে গেলে। হিন্দু ধর্মের তার অনুসারীদের দেওয়ার মত কিছু নেই। একক কোন শাস্ত্র, বিশ্বাস, নবী তাদের নেই। এ্কই ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ববোধ সেমিটিক ধর্মের মত হিন্দু ধর্মে তাই সম্ভব নয়।… বাদ থাকে ইসলাম। এর খিলাফত, ইসলামী শাসন, ন্যাৎসিবাদের মত ইমাম মাহাদীর আগমন বিশ্বাস আগামী পৃথিবীতে এককভাবে এই ধর্মটিই বার বার আলোচনায় আসবে। ইসলাম কায়েমের নামে পৃথিবীতে আরো কোটি কোটি প্রাণ অকালে হারাবে। আর এর পরিণতিতে পৃথিবীতে মুসলমানরা বাকী সাড়ে তিনশো কোটি ‘কাফেরদের’ ঘৃণা, অবিশ্বাস, ভীতি, বিদ্বেষের শিকার হবে। আর এটার জন্য অন্যতম দায়ী হয়ে থাকবে পাশ্চত্যসহ সারা পৃথিবীর অমুসলিম সমাজের বাকোয়াজ ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ পালে হাওয়া দেওয়াতে…

আমরা গাধা না। আমরা যা দেখি সেঁতা নিয়েই মনে প্রশ্ন আসে আমরা মনে করি আমাদের প্রশ্ন করার অধিকার আছে। আমরা প্রশ্ন করবই । এতে করে আমাদের কে মুসলিম বিদ্বেষী ভেবে ধর্মের শত্রু ভাবাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। আমরা পড়াশোনা করি । যাচাই বাছাই করে তবেই না বিশ্বাস করব। যা আজ পর্যন্ত চোখেই দেখলাম না সে সকল বিষয় নিয়ে কথা বলার অধিকার আমি নিজেই নিজেকে দিয়েছি এবং আমার কথা বলার ১০০% অধিকার আছে। যদি ভাল না লাগে তাহলে সঠিক যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিন। অযথা তর্ক করবেন না।