বাংলাদেশের এক যুবক নিজের পুরুষত্ব নিয়ে লজ্জাবোধ করতেন৷ তিনি ভাবতেন তার লিঙ্গের কারণে তিনি সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, ঘৃণিত৷ অবশ্য এইটা পার্সোনাল হাইজিনের জন্যেও হইতে পারে। তিনি উদ্ভ্রান্তের মত লোকাল বাসে চড়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতেন (বাসে তাকে কেউ যৌন নিপীড়ন করতো না), দোকান থেকে কিনে সিগারেট খেয়ে চিন্তা করতেন কেন তার সাথেই এমন হয় (সিগারেট খাওয়ার কারণেও কেউ তাকে জাজ করতো না)। রাতে রাস্তায় একা একা হেঁটে হেঁটে ভাবতেন কেন সমাজে এত লিঙ্গবৈষম্যে (তাকে কেউ টিজও করতো না এ সময়ে)। কেন? কেন? তার লিঙ্গের কারণে তিনি এমন সমস্যার মুখে পড়বেন? কেন?

তখনই তিনি খোঁজ পেলেন জর্ডান পিটারসনের। পিটারসন তাকে বললেন সারাবিশ্বে masculinity হুমকির মুখে আছে। পুরুষদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। নারীরা আর তাদের femininity হচ্ছে chaos, আর পুরুষ আর তাদের masculinity হচ্ছে order। তখনই তার চোখে পড়লো আমাদের সমাজ, যেটা মূলত পুরুষতান্ত্রিক, সেখানে নারীদের অধিকার বেশি, well সমান, কিন্তু even that is too much! এভাবে চলতে পারে না।

আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতিতে আমরা এভাবে চলি নি৷ কনসেন্ট নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই নি৷ নারীদের মতামতের দাম আমরা কখনোই দেই নি, তবে এখন কেন? এখন কেন দিতে হবে? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন তাদের অতিরিক্ত সমানাধিকার কীভাবে কমানো যায়? মারামারি করে? না। এর জন্য জনসমর্থন আদায় করতে হবে।

আমি    দেব শিশু, আমি চঞ্চল,
  আমি   ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব মায়ের অণ্চল!

তিনি শুরু করলেন র‍্যান্ডম স্থানে প্রকট হওয়া। এক জায়গায় প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে দুইটা ছবি খিঁচে চলে আসেন তিনি৷

সময় পেলে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করেন, কিন্তু উনি এভাবে আবৃত্তি করেন-

আমি    বন্ধন-হারা কুমারীর বেণু, তন্বী-নয়নে বহ্ণি
  আমি    ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!

আমি    গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল-ক’রে দেখা অনুখন,
      আমি    চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা’র কাঁকন-চুড়ির কন-কন!

হাঁটি-হাঁটি-পা-পা করে আজ তিনি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছেন। Which is fitting কারণ উনি ভাইরাসের মতোই একটা সিস্টেমকে আক্রান্ত করেন, যেভাবে পিটারসন করেছেন।