সাধারণ জনগণ কি চাই? বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। নিরাপদ সড়ক চাই। বেপরোয়া ভাবে রাস্তায় মানুষজন গারি চালায়। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মরছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী মরছে। াই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আজ ওড়া রাজপথে নেমেছে। চলছে আন্দোলন। দেশ অস্থির হয়ে উঠেছে। মানুষ খেপেছে। সবাই রাজপথে নেমেছে। আর এর সুযোগ নিয়েছে সরকার। স্বচ্ছ একতা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলন বলে নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে মারছে। লাঠি চার্জ করছে। মেরে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে।আহারে কি এক যন্ত্রণা বুকের মধ্যে। অসহায় বাচ্চাগুলো এই সরকারের ভয়াল থাবা থেকে নিজেদের বাঁচাতের পারছে না।
আর সহ্য হচ্ছে না, চোখ দিয়ে পানি আসছে! মৃত্যু আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে! আর কারো কথা শুনতে মনে চাই না, কারো কোন জবাব দিতে ভালো লাগে না! শুধু অশ্রুভেজা চোখে দেখি আমার দেশে জালিমের অত্যাচার! নির্দোষ ছাত্রদের উপর সরকারী সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্মম হামলা আমাকে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে! কিন্তু, আল্লাহর কসম! আর বসে থাকতে রাজি নই! ঐ তাগুত হাসিনার প্র্রতিটা জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানতে হবে! ঐ ছাত্রলীগ নামক জানোয়ারদের দেহ থেকে মাথাকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে! পুলিশ বাহিনী নামক মুরতাদ বাহিনীর প্রতিটা হত্যার বদলা নিতে হবে! আজ এদেশ মানুষের মত দেখতে কিন্তু ভেতরে জানোয়ারের আত্মাবহনকারী বিবেক বিবর্জিত শয়তানদের কবলে! ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এই দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এ ধরণের সংগঠন এবং আরেক বৈধ(!) সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী বর্বরোচিত হামলা করে! কিশোর শিক্ষার্থীদের উপর এরূপ হামলার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া বিরল।
সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনীসহ সরকারের সন্ত্রাসী মন্ত্রীরা বেশ কিছুদিন থেকেই ছাত্রদের উপর হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল। মাঝে মাঝে রক্তাক্ত করেছে অনেককে। কিন্তু, আজকের ঘটনা অন্যরকম! আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করতে পূর্ব থেকেই পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে বলে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরো কিছু মন্ত্রী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী একটি বৈঠক করে ছাত্রদের উপর হামলা করার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে। সেখানে তাদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাদের থাকতে আহ্বান জানায়। এরপর পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক কিশোর শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় ঐ যৌথ সন্ত্রাসী বাহিনী। রক্তাক্ত ছাত্রদের পরে থাকতে দেখা যায় রাস্তায়। কাউকে জবাই করা হয়েছে এমনও তথ্য এসেছে। আবার, অনেক ছাত্রীকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছে ঐ সন্ত্রাসীরা। আর কিছু লিখতে পারতেছিনা, হৃদয় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে!
হে আল্লাহ! আমার মাজলুম ভাই-বোনদেরকে আপনি সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! জালিমের কবল থেকে আপনি আমাদেরকে উদ্ধার করুন। হে আল্লাহ! এই আন্দোলনই যেন এ দেশে ইসলাম কায়েম করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়, সেই ব্যবস্থা করে দিন! আন্দোলনকারীদেরকে ইসলামের হয়ে লড়াই করার তৌফিক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন।
বর্বর আওয়ামীলীগ সরকার প্রশাসন কে দিয়ে এই অসহনীয় অত্যাচার চালাচ্ছে। ধরে ধরে শিক্ষার্থী মেরে ফেলছে। গুম করে ফেলছে। মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে। বিনা লাইসেন্স ছাড়া গারি চালাচ্ছে। ১২ বছরের বাচ্চা চালাচ্ছে বাস। মানুষ মরছে। কত তরুণ প্রাণ ঝরে গাছে। পুলিশের আর ছাত্রলীগ মিলে স্কুলের বাচ্চাদের মারছে ধরে ধরে। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি মেরে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে। কোন ভাবেই বাধা দিতে না পেরে গুলি করে মারছে এই নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের। রাজপথ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।শোকালে আন্দোলনে গিয়ে বিকেলে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরছে। এই সরকার কত মায়ের বুক খালি করে তার সন্তানকে লাশ করে বাড়িতে পাঠাচ্ছে। আর আমরা অসহায় ভাবে দেখছি এসব।