ইসলাম ধর্ম একটি পুরনাঙ্গ পুরুষ ধর্ম। এখানে নারীদের স্বভাবতই হেয় কর একথা বলা হয়েছে। এটা শুধু পুরুষদের জন্যই বানানো এক ধর্ম যেখানে নারীদেরকে নিয়ে সেরকম করে কোন কিছুই বলা হয় নি কোরানে হাদিসে নারীদেরকে নিয়ে সমালোচনা , বা দাসী বাঁদি ছাড়া সেরকম করে তেমন কিছুই বলা হয় নি। ধাপে ধাপে আলোচনা করছি। কয়েক পরবে এসকল সূরা , আয়াত নিয়ে কথা বলব। পুরুষ মানুষদের আদলে গোঁড়া এই সমাজের শকল কিছুই তো পুরুষদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ধর্মটাই পুরুষদের জন্যই বানানো। সেখানে নারীদের মান দেয়া না দেয়া একই কথা। আর ইসলাম ধর্ম এর জন্য এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে কোরান। এই গ্রন্থই একজন মুসলমান নারী বা পুরুষের প্রধান পথ প্রদর্শক। এই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ প্রথম থেকে শেয পর্যন্ত পড়লে সহজেই বুঝা যাবে যে কোরান শুধু পুরুষদের উদ্দেশ্যেই পাঠানো হয়েছে। নারীদের জন্য কোরান পাঠানো হয় নাই। åনারীদের কোরান পড়ার প্রয়োজন নেই, শুধু মুমিন পুরুষরা নারীদের যা করতে বলবে তাই নারীদের করতে হবে, তাই নারীদের ধর্ম। আল্লাহ মনে করেছেন নারীরা কোরান পড়তে পারবে না অথবা নারীদের কোরান পড়ার প্রয়োজন নেই।

যেমন – সূরা নং ২ আল বাকারা (বকনা বাছুর) ২৫ নং আয়াত:

“যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে,তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই তাদেরকে জান্নাত থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে, এটাইতো পূর্বে আমাদের খেতে দেয়া হয়েছিল। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে হবে স্থায়ী।”

উপরের আয়াতটি আমরা একটু ভালো করে পড়ি। এখানে হযরত মুহম্মদ (স:) কে বলা হয়েছ তাদের সুসংবাদ দিতে যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে তারা পরকালে জান্নাত, সুস্বাদু ফল আর পবিত্র স্ত্রীগণ পাবে।

স্ত্রী কাদের থাকে? পুরুষদের। তাহলে ঈমান কারা আনবে? পুরুষরা। কারা নেক কাজ করবে? পুরুষরা।

অতএব নারীদের ঈমান আনার দরকার আছে কি? নারীদের নেক কাজ করার দরকার আছে কি? যদি নারী পুরুষ সবার কথা বুঝাতো তাহলে লেখা হত, তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্বামী ও স্ত্রীগণ।

সূরা ৩ আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)

আয়াত নং ১৪:

“মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে প্রবৃত্তির ভালো বাসা- নারী, সন্তানাদি, রাশি রাশি সোনা-রূপা, চিহ্নিত ঘোড়া, গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত্র। এগুলো দুনিয়ার জীবনের ভোগ সামগ্রী। আর আল্লাহ, তার নিকট রয়েছে উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।”

উপরের আয়াতটিতে আল্লাহ মানুষকে বলছেন, মানুষের জন্য কী কী সুশোভিত মানে সুন্দর করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী একটি। কী চমৎকার। আর মানুষ বলতে শুধু পুরুষদের বোঝানো হয়েছে। কারণ নারীকেতো আর নারীদের জন্য সুন্দর করা হবেনা এবং নারীকে ঘোড়া, গবাদিপশু কাতারে নিয়ে গিয়েছে। আর নারীর কি প্রবৃত্তির ভালোবাসা নেই?

যদি নারীদের জন্যও কোরান লেখা হত তবে আয়াতটি হত এমন,

“মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে প্রবৃত্তির ভালোবাসা নারী পুরুষ, সন্তানাদি, রাশি রাশি সোনারূপা, চিহ্নিত ঘোড়া,গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত্র। “অর্থাৎ নারীর সাথে পুরুষ শব্দটিও থাকতো।

সূরা ৩ আল ইমরান

আয়াত নং ১৫:

“বল,আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও উত্তম বস্তুর সংবাদ দেব? যারা তাকওয়া অর্জন করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহর সমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর পবিত্র স্ত্রীগণ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি।”

এই আয়াতটিও ২নং সূরা বাকারার ২৫ নং আয়াতের মত। তোমাদেরকে বলতে মুমিন পুরুষদের বুঝানো হয়েছে। কারণ “পবিত্র স্ত্রীগণ।” তাই তাকওয়া শুধু পুরুষরাই অর্জন করবে নারীরা করবে না।

সূরা ৪ নিসা (নারী)

আয়াত নং ৩:

“আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভালো লাগে; দুটি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি অথবা তোমাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে। এটা অধিকতর নিকটবর্তী যে, তোমরা জুলুম করবে না।”

এখানেও “তোমরা” পুরুষদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। ইয়াতীম কি শুধু মেয়েরাই ছিল? ছেলেরা কি এয়াতিম ছিল না? ইয়াতীম মেয়েদের ইনসাফ করতে হলে তাদের বিয়ে করতে হবে? বিয়ে না করে ইয়াতীম মেয়েদের কি ইনসাফ দেয়া যেতো না? আরো বলা হয়েছে, নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে। দুটি, তিনটি, চারটি। মানে নারী একেবারে দোকানের পণ্য। আবার যদি সমান আচরণ করতে না পারে তবে একজনকে অথবা বিয়ে না করলে ক্রীত দাসী বা যুদ্ধবন্দিনীকে ব্যবহার করা যাবে। একজন মা ই তার সন্তানদের প্রতি সমান আচরণ করতে পারে না। সেখানে বউদের সাথে সমান আচরণ আশা করা যায় কি? আল্লাহও তো বলেছেন যে সমান আচরণ করা সম্ভব নয়!

ইসলামে নারীরা ৪ তা বিয়ে করতে পারেন না। কিন্তু পুরুষরা ঠিকই পারেন। কেন পারেন? পুরুষরা ৪ তা বিয়ে করবেন, ছার জন্মের সাথেই থাকবেন, কিন্তু মেয়েরা করতে গেলে বা বিয়ের আগে সেক্স করতে গেলে, আর যদি ধরা পড়ে তাহলে সরিয়া আইনের বদৌলতে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার হুকুম দেয়া আছে কোরানে। কেন? একটা ছেলে বিয়ের আগে সেক্স করতে পারলে একজন মেয়ে কেন পারবেন না বিয়ের আগে সেক্স করতে? একজন পুরুষ নিজের ইচ্ছে  মতোই যা ইচ্ছা করতে পারেন। কিন্তু একটা মেয়ে কেন পারবেন না?