অনেক মোডারেট মুসলমান আছেন যারা বলবেন কোরানে যেসকল সূরা রয়েছে সেসকল সূরায় জঙ্গিবাদের কথা উল্লেখ নেই। সেগুলো অইশময়কার কথা বিবেচনা করেই নিজেদের ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতেই মানুষকে হত্যা করা বা তাঁদের উপর হামলা করার কথা বলা হয়েছে। কোন ধর্ম গ্রন্থে যদি অমুসলমানদেরকে মারার কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে সে ধর্ম কি করে শান্তির ধর্ম হয়ে থাকে? অধর্ম যদি ধর্ম থেকে বর হয় তাহলে সে বিচারের দায়িত্ব কি মানুষের? অন্যায়কে দমন না করে নিরাপরাদ মানুষ মারার অধিকার কয়ে দিয়েছে? আর নিরাপরাধ মানুষকে মারার কথা কোরানে বিস্তারিত ভহাবে লেখা আছে।
“যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।”
( সূরা ৮- আয়াত ১২)
“অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দানে মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।”
( সূরা ৪৭- আয়াত ৪ )
“আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই কর। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
এখন এ্যাপলজিস্ট মুসলিমরা বলেন, উপরোক্ত দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আয়াত দুইটা যুদ্ধ পরিস্থিতে বিশেষ সময়ের জন্য লেখা হইছিলো। এইটা এই সময়ের জন্য প্রযোজ্য না।
আসলেই কি তাই?
এই যে ছোট ছোট ছেলেগুলিরে ব্রেইনওয়াস করা হইলো, তাদের যদি আমি বুঝাই, দুনিয়াতে এখন যুদ্ধপরিস্থিতি চলতেছে? ফিলিস্তিনে বা সিরিয়ায় যা হইতেছে তা ঠেকানোর জন্য ‘আমাদের’ যুদ্ধে নামতে হবে? তখন কি তারা উপরের আয়াতগুলিরে মাইনা নিবেন না?
( সূরা২- আয়াত ১৯১ )
“অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর । আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
( সূরা ৯- আয়াত ৫ )
“তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর।
( সূরা ৪- আয়াত ৮৯ )
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।”
( সূরা ৯- আয়াত ১২৩)
“আল্লাহ্ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।”
( সূরা ৬১- আয়াত ৪ )
“তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণক। বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।”
( সূরা ২- আয়াত ২১৬ )
যদি কোরানে এভাবে বিস্তারিত ভাবে জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটানোর জন্য আয়াতগুলো নিয়ে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়া হয় তাহলে ইসলাম ধর্মকে লোকে শুধু ভয় পাবে না ঘৃণা করবেই। বনা দোষে নির্দোষ মানুষগুলো মারছে জঙ্গি গোষ্ঠী। আত্মঘাতী বোমা হামলা করছে । লক্ষ লক্ষ মানুষ মারছে। সারা পৃথিবীতে ইসলাম এক আতঙ্ক ছাড়া এখন আর কিছুই না। আমরা যদি এগুলো নিয়ে কথা বলই বা সামনে তুলে আনি আমরা হয়ে যাই কাফের মুরতাদ। আমাদেকে মারার জন্য শত শত কট্টর মুসলমান চাপাতি হাতে তৈরি আছেন। তারা সুযোগ্যার অপেক্ষায় থাকেন কখন জবাই করে মারবেন।