বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আসলে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। একের পর এক মুক্তচিন্তার ব্লগার খুন হচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো ছাড়া আর কিছুই করছে না। প্রথ্যাত লেখক হুমায়ুন আজাদ থেকে শুরু করে অভিজিৎ রায় কিংবা রাজীব হায়দার, এরকম অসংখ্য ব্লগার হত্যা হলেন, কিন্তু একটারও কি কোন বিচার বলে মনে করেন আপনি?

আমার মনে হয় না কখনওই এদের বিচার হবে। কেন জানেন? কারন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই মুসলমান। তারা নাস্তিকদের ঘৃণা করে। তারা যানে খুন হওয়া ব্লগাররা নাস্তিক ছিল। এবং তাই এসকল নৃশংস হত্যার কোন প্রতিবাদ হবেনা।

এই মুসলমানদের মধ্যেই কিছু লোক আবার সেক্যুলারিজমের কথা বলবে, ফ্রিডম অফ স্পিচ এর কথা বলবে, আবার একই সাথে ধর্মের নামে কোন সমালোচনা সহ্য করতে পারবেনা। তারা ততটুকুই করবে বা বলবে যতটুকু তাদের স্বার্থের পক্ষে যায়।

এদেরকে আমরা মোডারেট মুসলিম বলি। তবে তাদের নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে, তবে ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করার কারনে কাউকে হত্যা করা হবে এবং এসকল হত্যার বিচার ও চাইতে আসবে না!? জীবনে একটা বারও ভালোভাবে নামাজ পড়বে না, ভালো করে রোজা রাখবে না, কিন্তু মোহাম্মদ কিংবা ইসলাম নিয়ে কোন টু শব্দ শুনলেই শরীরে জিহাদি জোশ চলে আসে! নিজেদের মুসলমান প্রমাণিত করতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলে পরে।

তবে একটা কথা আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত –

মানুষের জন্য ধর্ম… ধর্মের জন্য মানুষ না…

জয় হোক মানবতার!