মাদ্রাসা। ইসলামী শিক্ষা প্রদানের স্থান। বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয় । তবে মূলত ইসলামী শিক্ষা দেয়াটা থাকে মূল উদ্দেশ্য । আরবী ভাষায় পারদর্শী করে তোলায় বিশেষ জোর দেয়া হয় । মূলত বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে দরিদ্র মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা এবং পিতৃমাতৃহীন ছেলেরা পড়াশোনা করে।

অধিকাংশ মাদ্রাসা হয় আবাসিক ব্যবস্থাসম্পন্ন । ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষাপ্রদান কেন্দ্রের সাথে বা কাছে থাকতে পারেন তেমন ব্যবস্থা রেখেই গড়ে তোলা হয় এই ধরনের প্রতিষ্ঠান ।

তাই ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ নিজেদের খুব কাছাকাছি থাকার সুযোগ পান। আর এই কাছে থাকার সুযোগের অপব্যবহার করে থাকেন অনেকে । জন্ম দেন ঘৃন্যতম ও জঘন্যতম সব ঘটনার । সেরকম কিছু ঘটনার বিবরন ও কারন নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করব এই লেখায়।

১০ই আগষ্ট, ২০১৫ তারিখে বিবিসি  বাংলা নিউজের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় এক মাদ্রাসা শিক্ষক একটি ছাত্রকে ধর্ষণ করে । নিউজ লিঙ্কটি হচ্ছে – https://www.bbc.com/bengali/news/2015/08/150810_aho_madrasa_rape

এখানে জানা যায় যে , শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক একটি ছাত্রকে ধর্ষণ করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া নামে ওই মাদ্রাসাটিতে ধর্ষণের শিকার হয়ে ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ে

আরেকটি নিউজ লিঙ্কhttps://somoyekhon.com/news/3712 এর সূত্র থেকে জানা যায় দুর্গাপুর উপজেলার হাটকানপাড়া এলাকায় তানজিবুল কোরআন নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র, ৯ বছর বয়সী একটি নিষ্পাপ শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক । এই খবরটি থেকে আরও জানা যায় যে ওই একই শিক্ষক এই ঘটনার ১৫/১৬ দিন আগে আরও একটি ছাত্রকে ধর্ষণ করে ।

আরও একটি খবরের সূত্রে জানা যায় এক শিক্ষক তিন শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করে । নিউজ লিঙ্কটি হচ্ছে – http://www.thebangladeshtoday.com/bangla/2018/06/29/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%A9-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%95/

এখানে প্রকাশিত হয় যে  তিন ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত ও জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউপির হুসোরখালি কওমিয়া মাদ্রাসায়।

এছাড়া নিউজ লিঙ্ক – https://www.priyo.com/articles/narayanganj-a-seminary-student-balatkarera-201727  এর বরাতে জানা যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কাইতাখালী মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ধর্ষণ করে তারই শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে (৮) বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৩০) কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাইতাখালী মদিনুতুল উলুম মাদ্রসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম একই মাদ্রসার তৃতীয় শ্রেণির নূরানী বিভাগের ছাত্রকে একা পেয়ে বলাৎকার করে। অন্যান্য ছাত্ররা ঘটনাটি দেখে ফেললে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় জনতারা ঘটনাটির প্রতিবাদ জানাতে মাদ্রাসায় ছুটে আসে। পরে স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এমন ঘটনার কথা উল্লেখ করতে গেলে এই লেখাই শেষ করা সম্ভব হবে না শুধুমাত্র গুগল করলেই হাজারো এমন ঘটনা সামনে চলে আসবে কথাটা কতটুকু ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তাযুক্ত তা একবার ভাবলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় নিষ্পাপ অসহায় শিশুদেরকে শিক্ষক নামের পশুগুলো কিভাবে তাদের লালসার শিকার করে তোলে তা এক ধাধার মত ঘুরে বেড়ায় আমার মনে কি করে পারে এরা ? এটা ভাবতে গিয়ে এক অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলাম ইসলাম নামের এই তথাকথিত ধর্ম মানুষের যৌনতাকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রন করতে চায় যে মানুষ তাঁর নিজেরই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে তবে যাই হোক , শিশু যে কাউকেই ধর্ষণ কোন ভাবেই মানা যায় না ধরনের জঘন্য কাজের কোন ব্যাখ্যা থাকতে পারে না

আরেকটি ব্যাপার হল ধরনের অপকর্ম মুসলমানদের মধ্যে সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাদ্রাসাগুলোতে যেভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্ষণ নামের অপরাধের শিকার হয় তাঁর আর কোন নজির অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা যায় না । মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজীদের হুজুররাই কেন এ ধরনের অপকর্ম ঘটায় । তবে কি তাদের মহানবীর সুন্নত পালন করে তাঁরা ?? তবে কি মোহাম্মদের ছয় বছর বয়সী শিশুকে যৌনসংগী হিসেবে নির্বাচন করা কে তাঁরা আদর্শ হিসেবে নিয়েছে তাঁরা ?? আর বিশেষ করে ছেলে শিশুদের লালসার শিকার করে কেন তাঁরা ? আসলে শিশুকামীতা তো তাদের নবীই উদাহরণ হিসেবে রেখে গেছে । তাই বোধ হয় তাদের মাঝে শিশুদের যৌনতার শিকার বানানোটা প্রবনতা ।

তাছাড়া আরো একটি ব্যাপার হল দুর্বলের প্রতি অত্যাচার করাটা ইসলামের একটি ঐতিহ্য বলা যেতে পারে মনস্তাত্বীক দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে মানুষ আসলে দূর্বলের ওপর চেপে বসাটা গভীরভাবে উপভোগ করে । এই ব্যাপারটা মুসলামানদের মধ্যে এত বেশি যে তা এক মহামারী আকার ধারন করেছে । আসলে ইসলাম এমন এক ধর্ম যা মানুষকে নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে মানসিকভাবে বিকৃত করে তোলে । মানুষকে এমন এক নিয়ন্ত্রনের ছকে ফেলে যে মানুষ পশু হয়ে ওঠে । তা না হলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষের গলা কাটা থেকে নিয়ে বোমাবাজি সহ নানা রকম সহিংসতা মুসলমানদের নিত্যদিনকার কর্মকান্ড । তাই ইসলাম নামের এই বিষ মানুষ নামের এই পশুগুলোকে তৈরি করেছে । মূলত বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে দরিদ্র মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা এবং পিতৃমাতৃহীন ছেলেরা পড়াশোনা করে। এই দরিদ্র , অসহায় আর এতিম শিশুদের মুসলমানরা তাদের নবীর আদর্শের শিকার বানায় । তাই তথাকথিত এই শান্তির ধর্ম কোন ভাবেই শান্তি বয়ে আনে না । বরং এই ধর্ম ছড়ায় ঘৃনা , বিভাজন এবং সহিংসতা । আর শেখায় নিষ্পাপ শিশুদের বলাৎকার করা ।