কিছুদিন আগে একটা খবরে দেখলাম বাংলাদেশের কোথাও একটা সমকামীদের সিক্রেট মিলনমেলায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে, ৫৭জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের অপরাধ? তারা একত্রে দেখা করছে, তাদের অপরাধ তারা সমকামী! গৎবাঁধা অভিযোগ “নেশা, অসামাজিক কার্যকলাপ” ইত্যাদি দিয়ে তাদের ফাঁসানো হলো।
আবার দেখলাম মালয়েশিয়াতে সমকামী ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে পুলিশ সমকামীদের গ্রেফতার করছে! ভাবতে পারেন?
ফেসবুকে বাংলাদেশের সমকামীদের অনেক গ্রুপ আছে। এলাকা ভিত্তিক গ্রুপ। বরিশাল, উত্তরা, ঢাকা, নরসিংদী, ইত্যাদি গে ক্লাব। সেখানে সমকামীরা নিজেদের মনোভাব শেয়ার করে, একে অন্যের সাথে পরিচিত হয়। সেসব গ্রুপ থেকে অনেকেই নিজের সঙ্গী বেছে নেয়। নিঃসঙ্গতা কাটানোর ভালো উপায় এটি। অনেকে মনে করে সমকামীরা বুঝি যাকে পায় তার সাথেই সম্পর্কে চলে যায়! বা যাকে পায় তার সাথেই সেক্স করতে চায়। বিষমকামীরা যেভাবে নারীদের ট্রিট করে সেভাবেই তারা দুনিয়াকে দেখে আর কি।
যা হোক, এসব গ্রুপের সদস্যরা অনেকেই ফেক আইডি ব্যবহার করে নিজের নিরাপত্তার জন্য। কেউ কেউ আবার নিজের আইডি দিয়েই এসব গ্রুপে যুক্ত হয়। এদের মধ্যে কিছু লোক যায় এদের তথ্য ফাঁস করতে। গ্রুপের বা ইনবক্সের কথোপকথন পাবলিকে ছড়িয়ে আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতে। কেমন ডেডিকেশনরে ভাই!
তবে এমন অনেক কেইস আছে যেখানে এসব কথোপকথনের ছবি দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। টাকা পয়সা নেয়া, হয়রানি, সামাজিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। এসব ব্যাপারে আইনি সহায়তাও নেয়ার উপায় নেই কারণ ৩৭৭ধারা।
আবার উপরে যে খবরের কথা বলেছি এমন অনেক মিটআপের খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও পৌঁছে দেয়া হয় যা রাষ্ট্রীয় ভোগান্তির সৃষ্টি করে। পারিবারিকভাবে মানুষকে লাঞ্চিত করা হয়। এসবের শেষ নাই।
যতদিন পর্যন্ত সমকামীতা ডিক্রিমিনালাইজ না হবে ততদিন এসব চলতেই থাকবে।