আমরা জানি বিজ্ঞান বলে আকাশে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বৃষ্টি হয়।  সূর্যের তাপে পৃথিবী থেকে পানি যতটা বাষ্প হয়ে উড়ে যায় উপড়ে যতটুকু সম্ভব এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আবার সেই উড়ে জাওয়া পানি বৃষ্টি আকারে নেমে এসে পৃথিবীতে ফিরে আসে। আর মানুষ অতীত যানে কিন্তু অতীত যখন বর্তমান থাকে মানুষ সেই সময় চাক্ষুষ ভাবে উপলব্ধি করে আর এই বর্তমান যখন ভবিষ্যৎ হয় তখন সেঁতা সম্ভাবনা বা অনুমানে পরিণত  হয়। অনুমানের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ অনুভব করা জেতেই পারে। আর মায়ের গর্ভে ছেলে আছে না মেয়ে তা বিজ্ঞানের বদৌলতে আজকাল সকল মা বাবাই যানতে পারে। কিন্তু হাদিস কি বলছে? 

■কেউ জানতে পারবে না মায়ের গর্ভে কী আছে এবং বৃষ্টি কখন হবে

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)

অধ্যায়ঃ ১৫/ বৃষ্টির জন্য দু’আ (كتاب الاستسقاء)

হাদিস নাম্বার: ৯৮২।

মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গায়বের কুঞ্জি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জাননা। ১. কেউ জাননা যে,আগামী কাল কি ঘটবে। ২. কেউ জাননা যে মায়ের গর্ভে কী আছে। ৩. কেউ জাননা যে, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। ৪. কেউ জাননা যে,সে কোথায় মারা যাবে। ৫. কেউ জাননা যে, কখন বৃষ্টি হবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■জাদুটোনাতে বিশ্বাস

পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)

অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা (كتاب الطب)

হাদিস নাম্বার: ৫৭৬৩

মহান আল্লাহর বাণীঃ শায়ত্বনরাই কুফুরী করেছিল, তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত এবং যা বাবিলের দু’জন ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর পৌঁছানো হয়েছিল…………পরকালে তার কোনই অংশ থাকবে না পর্যন্ত- সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১০২)। মহান আল্লাহর বাণীঃ যাদুকর যেরূপ ধরেই আসুক না কেন, সফল হবে না- সূরাহ ত্বহা ২০/৬৯)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কি দেখে-শুনে যাদুর কবলে পড়বে?-সূরাহ আম্বিয়া ২১/৩)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাদের যাদুর কারণে মূসার মনে হল যে, তাদের রশি আর লাঠিগুলো ছুটোছুটি করছে- সূরাহ ত্বহা ২০/৬৬)। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং জাদু করার উদ্দেশে) গিরায় ফুৎকারকারিণীদের অনিষ্ট হতে- সূরাহ ফালাক্ব ১১৩/৪)।النَّفَّاثَاتُঅর্থ যাদুকর নারী, যারা যাদু করে চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।

৫৭৬৩. ‘আয়িশাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যুরাইক গোত্রের লাবীদ ইবনু আ‘সাম নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে যাদু করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মনে হতো যেন তিনি একটি কাজ করেছেন, অথচ তা তিনি করেননি। একদিন বা একরাত্রি তিনি আমার কাছে ছিলেন। তিনি বার বার দু‘আ করতে থাকেন। তারপর তিনি বলেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি কি বুঝতে পেরেছ যে, আমি আল্লাহর কাছে যা জানতে চেয়েছিলাম, তিনি আমাকে তা জানিয়ে দিয়েছেন। স্বপ্নে দেখি) আমার নিকট দু’জন লোক আসেন। তাদের একজন আমার মাথার কাছে এবং অপরজন দু’পায়ের কাছে বসেন। একজন তাঁর সঙ্গীকে বলেনঃ এ লোকটির কী ব্যথা? তিনি বলেনঃ যাদু করা হয়েছে। প্রথম জন বলেনঃ কে যাদু করেছে? দ্বিতীয় জন বলেন,লাবীদ বিন আ’সাম। প্রথম জন জিজ্ঞেস করেনঃ কিসের মধ্যে?দ্বিতীয় জন উত্তর দেনঃ চিরুনী, মাথা আঁচড়ানোর সময় উঠা চুল এবং এক পুং খেজুর গাছের ‘জুব’-এর মধ্যে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন সহাবী সাথে নিয়ে সেখানে যান। পরে ফিরে এসে বলেনঃ হে ‘আয়িশাহ! সে কূপের পানি মেহদীর পানির মত লাল) এবং তার পাড়ের খেজুর গাছের মাথাগুলো শয়তানের মাথার মত। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি এ কথা প্রকাশ করে দিবেন না? তিনি বললেনঃ আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দান করেছেন,আমি মানুষকে এমন বিষয়ে প্ররোচিত করতে পছন্দ করি না, যাতে অকল্যাণ রয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলে সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

আবূ উসামাহ আবূ যামরাহ ও ইবনু আবূ যিনাদ (রহ.) হিশাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। লাইস ও ইবনু ‘উয়াইনাহ (রহ.) হিশাম থেকে বর্ণনা করেছেন,চিরুনী ও কাতানের টুকরায়। আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, الْمُشَاطَةُহল চিরুনী করার পর যে চুল বের হয়। مُشَاقَةِহল কাতান। [৩১৭৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৮)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

জাদু টোনায় সকল ক্ষেত্রে একটা বিষয় স্পষ্ট মেয়েদেরকে ইসলামে সকল ক্ষেত্রে শয়তানের সাথে তুলনা করা হয়। মেয়েদেরকে বলা হয় এরাই মুমিন দের পথ ভ্রষ্টের অন্যতম কারণ। জাদু টোনাতেমেয়েদের চুল,তাবিজ,কবজ,মেয়েদের রূপ ধরে এসে পুরুষদের চোখে ধাঁধা লাগিয়ে অন্য মেয়ের  ঘর ভেঙ্গে দেই। পুরুষকে জাদু টোনা করে বসে রাখার চেষ্টা করে। আবার স্বপ্নে এগুলোর কথা বিস্তারিত ভাবে দেখান হয়। আমার প্রশ্ন দুর্ঘটনা শুধু কি ছেলেদের ক্ষেত্রেই হয়?তাই পুরুষদের সকল সময় সুপ্রিম পাওয়ার দেয়ার কথা বলা হয় আর মেয়েদেরকে শয়তানের প্রতিনিধি?এসকল হাদিসের আসলেই কি কোন মানে হয়?